নৈতিকতা কি,নৈতিকতার উৎস| সুশাসন কি,সুশাসনের উৎস,উপকারিতা।


(নৈতিকতা কী, সুশাসন কি)




নৈতিকতা  (GOOd governance)

আমরা আগের পোস্টে জেনেছিলাম মূল্যবোধ কি,কি ধরণের বৈশিষ্ট্য, অভাব,ইত্যাদি ইত্যাদি। আজকে আমরা জানবো নৈতিকতা নিয়ে।

আলোচনার বিষয়গুলো হলো -

  • নৈতিকতা কি?
  • নৈতিকতার উত্স?
  • সুশাসন?
  • সুশাসনের উপাদান? 
  • সুশাসনের উপকারিতা কি?


(নৈতিকতা (ইংরেজি: Morality), যার অর্থ হলো ভদ্রতা, চরিত্র, উত্তম আচরণ)

১.নৈতিকতা (Ethics):নৈতিকতা হলো কোন এক ব্যাক্তির এমন এক ধরণের গুণাবলি, যা অপর কোন ব্যাক্তির মঙ্গল কামনা করে।সমাজের প্রেক্ষিতে ভালো কাজের জন্য অনুপ্রেরণা দেয়,উৎসাহ,উদ্দীপনা দিয়ে থাকে।

সর্বদা সবসময় সত্য কথা বলা,সমাজের অসহায় মানুষদের সাহায্যে,চুরি-ছিনতাই ইত্যাদি খারাপ কাজ থেকে বিরত,দূর্নীতি থেকে বিরত ইত্যাদির এর বহিঃপ্রকাশ।


২.নৈতিকতার উৎস : নৈতিক অধিকারের মুল উৎস হলো মানুষের নীতিবোধ,বিবেকবুদ্ধি।এছাড়া ও রয়েছে আইনগত অধিকার ।

যা রাষ্ট কতৃক স্বীকৃত। আইনগত অধিকার ভঙ্গ করিলে রাষ্ট তা শাস্তি দিয়ে থাকে।যদি সে নৈতিক অধিকারের ভঙ্গ করে তা রাষ্ট শাস্তি দিতে পারে না।তবে তা সমজে আলোচিত হয়।

নৈতিক ও আইনগত উভয় অধিকারই জনগন বা মানুষের মঙ্গলের জন্যই তৈরি।

(সুশাসন কি?)

৩.সুশাসন(Good Governance): সুশাসন ধারণার উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক।সুশাসন শব্দ দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত এক-গুড Good, দুই- গভর্ন্যান্স (governance)।

যার অর্থ হলো নির্ভুল,দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।সুশাসন একটি চলমান প্রক্রিয়া।শাসক ও শাসিতের সর্ম্পক কেমন হবে,রাষ্ট কিভাবে পরিচালিত হবে,রাষ্ট ও সরকার,সরকার ও জনগন ইত্যাদির সম্পর্ক।আধুনিক রাষ্টসমুহ কল্যাণমুখী।

গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসন আশা করা যায় না।মূলত বেশিরভাগ দেশে সুশাসন কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ থাকে,বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায় না।গণতন্ত্রকে সফল করার পূর্বশর্ত হলো এই সুশাসন।মুল লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক,সামাজিক,প্র্রশাসনিক ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করা,জনগণের কল্যাণ সাধন করা ।


(সুশাসনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?)


৪.সুশাসনের উপাদান:

UNDP সুশাসন নিশ্চিত করতে ৬ টি উপাদানের কথা বলেছেন।

১। সংসদীয় পদ্ধতি উন্নয়ন;

২। ন্যায়বিচার ও মানব অধিকার নিশ্চিতকরণ;

৩। তথ্য প্রবাহের প্রবেশাধিকার উন্নয়ন;

৪। নির্বাচন ব্যাবস্থা ও পদ্ধতির সাথে সহযোগিতা করা;

৫। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করা;

৬। লোক প্রসাসন ও সরকারি সেবাখাতসমুহের সংস্কার সাধন করা।


৫.সুশাসনের উপকারিতা:

  • সুশাসন সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলে।
  • সুশাসন সমাজের বিশৃঙ্খলা দূর করতে সাহায্যে করে।
  • সুশাসন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
  • এটি দেশের জাতীয় উন্নতিতে সহায়তা করে।
  • জনগণের  সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করে।
  • জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে থাকে এ সুশাসন।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.