গ্রীষ্মকালে ফুল এবং ফল এবং গুনাবলি।

গ্রীষ্মকালে ফুল এবং ফলের সৌন্দর্য্য। 

গ্রীষ্মকাল বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত উষ্ণ ও শুষ্ক ঋতু, যা সূর্যের তীব্র তাপমাত্রার কারণে সবচেয়ে জ্বলন্ত ঋতু। এই ঋতুতে বৃষ্টি অত্যন্ত কম, এবং পৃথিবী অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যায়, এই কারণে এটি ফল এবং ফুলের জন্য একটি মহৎ চ্যালেঞ্জ হয়।

ফল ও ফুলের উদ্ভাবন

গ্রীষ্মকালে ফল ও ফুলের বৃদ্ধি ও উৎপাদন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। পৌষ মাসে পৌষ পূর্ণিমার পরে আমরা গ্রীষ্মকালের শুরু দেখি। এই সময়টিতে বৃদ্ধি প্রক্রিয়া শুরু পৌঁছে, এবং ফল ও ফুলের উদ্ভাবন সাধন করতে থাকে।

গুচ্ছপূর্ণ পুষ্প -  গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন গুচ্ছে ফুল ফুটে। সৌন্দর্য ও বৃদ্ধির দৃশ্য দর্শনীয় হয়। সুবর্ণ সূর্যোদয়ে সেই গুচ্ছগুচ্ছ সবুজে লাল, নীল, ও সব রঙে চমকে উঠে। গুচ্ছের আকার এবং গন্ধ প্রতিটি পুষ্পে অনুকূলভাবে প্রকাশিত হয়। গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি বৃদ্ধির সৌভাগ্য খুব কম, তবে ফুলের রং এবং বৃদ্ধি সূর্যের প্রকৃতি থেকে আদ্যতঃ মগ্ন করে।

গুচ্ছপূর্ণ ফুল ফলের প্রকৃতি

গ্রীষ্মকালে ফল ও ফুলের উদ্ভাবন এবং দেখভালের জন্য যে সুস্বাদু ফুল ও ফল আমরা দেখি, সেগুলির প্রকৃতি স্বাভাবিকভাবে আমাদের আকর্ষণ করে। কিছু প্রধান গুচ্ছপূর্ণ ফুল ও ফল হলো -

১.  আম - Mango

আম একটি বাংলাদেশের সুস্বাদু ফল। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজাতির আম আমরা দেখতে পাই,কোনটি মিষ্টি,টক,রসাল।আবার আমের হরেক রকম নাম রয়েছে। হাড়িভাঙ্গা,ফজলি,ন্যাংড়া,জামাইভোগ,আম্রপালি ইত্যাদি অনেক নাম আছে।বাংলাদেশের জাতীয় গাছের নামই আম গাছ। আম গাছ হলো একটি চিরহরিৎ বৃক্ষ।আম গাছে সব সময় পাতা থাকে।আম সাধারণত বৈশাখে আগে থেকেই মুকুল বের হয়।জৈষ্ঠ্যমাস মধ্য অংশ আম পাকা শুরু হয়।আমের মধ্য প্রচুর ভিটামিন সি আছে আরও আছে এ,ডি আছে। 

২. জাম -Java Plum

 জাম বাংলাদেশে একটি খুবই রসাল ফল। জাম প্রজাতি কয়েক ধরন রয়েছে।জাম রয়েছে ভিটামিন এ,সি ।জামে পোকামাকড় আক্রমণ হার কম।জাম পেঁকে গেলে কালো,বেগুনি রঙ আকার ধারন করে।

৩.কাঁঠাল -Jackfruit 

কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল।কাঠাল রসাল ও সুস্বাদু একটি ফল।এ ফল আকার অনেক বড় হয়ে থাকে।ফলের সাড়া গায়ে ছোট কাটা থাকে।কাঠাল গাছের কাঠ অনেক দামি কাঠ। গাছে ও ফলে আঠা থাকে। কাচা কাঁঠাল রান্না করে সবজি আকারে খাওয়া যায়।পাকা কাঁঠালে খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই। পাকা কাঁঠাল রোয়াগুলো আঁশযুক্ত হয় হয়।

৪. লিচু -Lychee

লিচু গাছ একটি চিরহরিৎ বৃক্ষ। লিচু ফলের বাহিরের পৃষ্ঠ অমসৃণ হয়। এ খোসা / আবারণ ফেলে দিয়ে ভিতরের মিষ্টি রসাল শাষ খাওয়া হয়।বিচির কালো,লালচে প্রকৃতির হয়। লিচির বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে - ওজন কমাতে সাহায্যে করে,হজমে সমস্যা দুর করে,হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।

৫. কলা-Banana

কলা একটি পুষ্টিকর ফল। কলাতে আমিষ,ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।এছাড়া প্রচুর ক্যালরি রয়েছে। কলা বছরের সব সময় পাওয়া যায়।বিভিন্ন প্রজাতির কলা পাওয়া যায়। কিছু প্রজাতির কলা গাছের মোচা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।আবার সবজি আকারে কিছু প্রজাতির কলা খাওয়া যায়।

এছাড়া আরও কিছু ফল গুলো হলো

পেয়ারা,

আনারস,

তরমুজ,

বাঙ্গি,

খরমুজ,

বড়ই,কুল,

ডেওয়া, 

কামরাঙ্গা,

গোলাপজাম,

করমচা,

আতা।

ফুল এবং ফলের ভুমিকা

গুচ্ছপূর্ণ ফুল এবং ফলের গুণাবল সবচেয়ে সার্থক। এই ফুল এবং ফলগুলি আমাদের জীবনে অত্যন্ত প্রাণন্ত ভূমিকা রাখে।

1. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য - গুচ্ছপূর্ণ ফুলের অত্যন্ত সুস্বাদু বা সুন্দর আকার ও রঙে আমাদের চোখে পড়ে।

2. স্বাস্থ্যকর - এই ফুল ও ফলে প্রাণির প্রাকৃতিক প্রাণন্ত সৌন্দর্য এবং পৌষ্টিক গুণ আছে।

3. পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ - এই ফুল এবং ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। 

গুচ্ছপূর্ণ ফুল এবং ফলের আরও গুণাবল সম্পর্কিত কিছু তথ্য:

4. প্রকৃতির সৌন্দর্য - এই ফুল এবং ফলের অত্যন্ত সুন্দর রঙ, আকার এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য বাগানে একটি অদ্বিতীয় সৌন্দর্য তৈরি করে।

5. মানব সাহিত্যের অংশ - গুচ্ছপূর্ণ ফুল এবং ফল সবচেয়ে প্রাচীন সময় থেকেই মানব সাহিত্যের একটি অত্যন্ত মুখ্য অংশ হয়ে আসে। বহুল কবি, লেখক, এবং শিল্পী গুচ্ছপূর্ণ ফুলের সৌন্দর্য এবং পৌষ্টিকতা নিয়ে উদ্ধৃতি করেছেন।

6. পরিবেশের উন্নতি - গুচ্ছপূর্ণ ফুল ও ফল বাগানের পরিবেশটি পরিবেশের উন্নতি ও বিকাশে মহৎ ভূমিকা রাখে। এই সৌন্দর্যময় বাগানগুলি প্রাকৃতিক বায়ু, জীবন্ত প্রাণি, এবং মানব জীবনে সমৃদ্ধি ও সান্দ্র্য যাপন করে।

7. বৃষ্টি বৃদ্ধি - গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি অত্যন্ত স্ক্যার্স, এই ফুল এবং ফলগুলির জন্য একটি মহৎ চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে। এই কারণে গুচ্ছপূর্ণ ফুল এবং ফলের উদ্ভাবন ও বৃদ্ধি সূর্যের প্রকৃতি থেকে আদ্যতঃ মগ্ন করে।

গুচ্ছপূর্ণ ফুল এবং ফলের সুন্দর্য এবং পৌষ্টিকতা মানব জীবনে একটি মহৎ অংশ প্রদান করে, এবং গ্রীষ্মকালে এই সুন্দর বাগানের সাথে সময় কাটানো খুবই আনন্দদায়ক।