কর্মসংস্থান উপায় সমুহ!





আজ আমরা জানবো আত্মকর্মসংস্থানে উপায়গুলো।
বেকারত্ব দূর করতে আত্মকর্মসংস্থান এর কোন বিকল্প নেই। চাকরির পাশাপশি  যুবসমাজকে আত্মকর্মসংস্থান তথা ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন কে গুরুত্ব দিতে হবে। 
মূলত নিজের কর্মসংস্থা নিজেই তৈরি করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

আত্মকর্মসংস্থান এর করনীয় বিষয়।
আমাদের দেশে চাকরির সুযোগ সীমিত।

 সরকার বিপুল সংখ্যক বেকার তরুণ-তরুণীদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে পারছে না, এর ফলে বেকার সমস্যা বাড়ছে। 
দেশে শিক্ষিত অশিক্ষিত দু'ধরনের বেকার আছে। ক্ষুদ্র শিল্পে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে তারা নিজের ভাগ্য নিজেই ফিরিয়ে আনতে পারে।
 ক্ষুদ্র শিল্প কে আমাদের বেকার জনগোষ্ঠীর উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

*দেশের বেকার যুব সমাজকে আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। 
তাদেরকে এটা বোঝাতে হবে কোনো কাজই ছোট নয়। কিছু করতে হলে ছোট থেকে আরম্ভ করতে হবে। তবেই তো সাফল্য অর্জন সম্ভব।
* ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনের জন্য যুব ব্যাংক স্থাপন করা যেতে পারে। সহজ শর্তে বেকার যুবকরা যাতে এ থেকে লোন নিতে ও পরিশোধ করতে পারে।
* দেশে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকদের ক্ষুদ্র শিল্প সম্বন্ধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
*  যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য এমন যুবনীতি  প্রণয়ন করতে হবে যা আমাদের যুব সমাজ উন্নয়ন করতে পারে। দেশের শিক্ষিত যুব সমাজকে চাকরির ওপর নির্ভরশীল কমাতে হবে।
 বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণের পর তরুণ-তরুণীরা যাতে ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন করতে পারে  এর জন্য প্রয়োজনে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।


এছাড়াও রয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প, আমাদের মত দারিদ্রতম জনবহুল দেশে আত্ম-কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বহু সমস্যা আছে। 
দেশের যুবসমাজের চাকরির পেছনে না ছুটে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। 

দেশের বেকার যুব সমাজকে এর ওপর বেশি গুরুত্ব ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।ক্ষুদ্র শিল্পের মাধ্যমে তারা প্রচুর অর্থ আয় করতে পারে। ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগ পরিমাণ কম।একটু পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা অধিক উপার্জন করতে পারবে। এর জন্য প্রয়োজন ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনের মানসিকতা সৃষ্টি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যাবস্হা করা।

বেকার জনগোষ্ঠীকে আত্নকর্মসংস্থানের আওতায় নিয়ে আসার গুরুত্ব অপরিসীম। কুটির শিল্প বা ক্ষুদ্র শিল্প ছোট আকারের শিল্পকে বোঝায়।




যার বিনিয়োগের পরিমাণ 40 হাজার টাকা থেকে 3 কোটি টাকা পর্যন্ত। প্রথমত এই শিল্পের স্থাপন ছোট কারখানা, বিদ্যুৎ, শ্রমিক দরকার হয়ে থাকে।

 ক্ষুদ্র শিল্প সেবা প্রদানকারী ও সেবা উৎপাদনকারী হয়ে থাকে। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে যেমন এরকম হয়ে থাকে; মৎস্যচাষ।,হাঁস-মুরগী পালন, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, খাদ্য, খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুতকরণ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা, কাঠের আসবাবপত্র, খেলনা তৈরি, মধুচাষ, ছোট ব্যবসা ও দোকানপাট পরিচালনা, ফলের বাগান, ফুলের বাগান প্রভৃতি ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্গত হয়ে থাকে।


আরো পড়ুন

 সর্বোপরি আমরা এটা বলতে পারি- আমাদের দেশে বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য আত্মকর্মসংস্থান গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু আমরা বাঙ্গালী বলে ছোট কাজ কে অবহেলা বা অবজ্ঞা করে থাকি।অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে দেখেন তারা জন্মের পর তথা স্কুল জীবন থেকে কাজের উপর নির্ভরশীল। আমি বলি পৃথিবীতে কোন কাজই ছোট নয়।কাজকে ভালোবাসুন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.